দেওয়াল লিখন ঘিরে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ , থানা ঘেরাও

21st March 2021 10:41 pm হুগলী
দেওয়াল লিখন ঘিরে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ , থানা ঘেরাও


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : কোন্নগরে বিজেপির অনুমতি নেওয়া দেওয়াল লিখতে বাঁধা তৃণমূলের বলে অভিযোগ বিজেপির। কোন্নগর এলাকায় বিধানসভা ভোটের দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি। আহত এক তৃনমুল কর্মী। ভর্তি করা হয়েছে উত্তরপাড়া হাসপাতালে। আহত তৃনমুল কর্মীকে দেখতে যান তৃনমুল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক। ঘটনার প্রতিবাদে জিটি রোড অবরোধ করে তৃনমুল কর্মীরা। উত্তরপাড়া ফাড়ি ঘেরাও করে  বিক্ষোভ  দেখাতে থাকে তৃনমুল কংগ্রেস । বিজেপির দাবি কোন্নগরের সাধুর গলি এলাকায় অনুমতি নেওয়া দেওয়াল লিখতে গেলে বাধা দেয়  তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। এর পরে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে প্রথমে বচসা পরে হাতাহাতি হয়ে যায়।  তৃণমূল কাউন্সিলরকে দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক।বিজেপির অভিযোগ যে তাদের অনুমতি নিয়ে দেওয়াল লেখার সময় বাধা দেয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও তার দলবল।এরপরেই হাতাহাতি হয় দুজনের মধ্যে। তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক জানান যে এলাকায় শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে,তৃণমূলের অনুমতি নেওয়া দেওয়াল জোড় করে বিজেপি দখল করে। সেখানে বাধা দিলে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরকে মারধর করে বিজেপি কর্মীরা।তবে এই ঘটনায় ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়ালো উত্তরপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত কোন্নগরে। 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।